বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :: জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া-সাদিপুর-তেলিকোণা সড়কের একটি ব্রীজ ধ্বসে পড়ায় সরাসরি যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়েছে। ফলে প্রায় ৪০ গ্রামের লোকজন দুর্ভোগে পড়েছেন।
শনিবার সকালে ওই সড়কের আটপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নিকটবর্তী সেতুর ওপরের বিভিন্ন অংশ ভেঙে নিচে পড়ে সবধরনের যান বাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যে কারণে ওই সড়ক দিয়ে প্রতিনয়ত উপজেলা সদরের সঙ্গে যাতাযাতকারী প্রায় ৪০ গ্রামের মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগ পড়েছেন।
স্থানীয় এলজিইডি ও এলাকাবাসি জানান, জগন্নাথপুর উপজেলা কলকলিয়া ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া জগন্নাথপুরের কলকলিয়া-সাদিপুর-তেলিকোণা সড়কের আটপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় কয়েকবছর আগে সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের অর্থায়নে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি সংস্কারের অভাবে বিভিন্ন অংশে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সেতুর কিছু অংশ এরইমধ্যে ধসে পড়ে কয়েকটি গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এমতাবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে ওই সড়কের যানবাহন চলাচল করে আসছিল। শনিবার সকালে সেতুর ক্ষতিগ্রস্থ অংশ ভেঙে পড়ে। এজন্য ওই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলাচলকারী কলকলিয়া ইউনিয়নের আটপাড়া, বালিকান্দি,সাংঙ্গিরগাঁও, গলাখাই, সাদিপুর,কাদিপুর, মোল্লারগাঁও, জগদিশপুর, শ্রীধরপাশা,কামারখাল, তেলিকোণা,কান্দারগাঁও, নোয়াগাঁওসহ প্রায় ৪০ গ্রামের মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগ পড়েন। বিকল্প পথ হিসেবে আটপাড়া বালিকান্দি গ্রামের কাঁচা রাস্তা দিয়ে ঝুকিঁপূর্ণভাবে যানবাহন চলাচল করতে হচ্ছে।
স্থানীয় ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল হাসিম জানান, সেতুটির ওপরের বিভিন্ন ভেঙে অংশ ভেঙে নিচে পড়ে যাওয়ায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে এই সড়ক দিয়ে কলকলিয়া ইউনিয়ন ও পাশ্ববর্তী দিরাই উপজেলার প্রায় ৪০ গ্রামের লোকজন ভোগান্তিতে পড়েছেন। কারণ ওই সড়ক দিয়ে উপজেলা সদর ও কলকলিয়া ইউনিয়নে যাতায়াত করতে হয়।
তিনি বলেন, বিকল্প যাতায়াতের পথ হিসেবে গ্রামের ভেতরের কাঁচা রাস্তা দিয়ে কষ্ট করে যান চলাচল করছে। আবার কেউ কেউ পায়ে হেঁটে চলাফেরা করতে হচ্ছে। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ।
স্থানীয সরকার প্রকৌশল জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) গোলাম সারোয়ার বলেন, সেতুটি অনেকদিন ধরেই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। কিছু অংশ ধসে পড়ায় যান চলাচলে বিঘ্নিত হচ্ছে। তিনি বলেন সেতুটি পূর্ণ নির্মাণের জন্য আমরা জরুরী ভিত্তিত্বে ১৮ লাখ টাকা টেন্ডার আহবান করেছি।
Leave a Reply